কেশবপুরে অর্থের অভাবে থেমে আছে শান্ত দাস রহিত নামের এক শিশুর চিকিৎসা। সন্তানের চিকিৎসার জন্য খেটে খাওয়া মা বাবা দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন পথ না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।
(অসুস্থ শান্ত দাস রহিত) |
শিশু শান্ত দাস রহিত (১২) কেশবপুর উপজেলার ছোটো পাথরা গ্রামের খেটে খাওয়া বাবা দিপঙ্কর দাস ও মা তমালিকা দাসের সন্তান। ৭ মাস আগে শান্ত দাস রহিত সুপারি গাছে উঠে সুপারি পাড়ছিল। আচমকা সেখান থেকে পড়ে গিয়ে সে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষনিক তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে শান্ত দাস রহিতকে নিয়ে তার পিতা দিপঙ্কর দাস অর্থের অভাবে নিজ বাড়ি ছোট পাথরায় রয়েছেন। সেখানে স্থানীয় ডাক্তার দিয়ে তার চিকিৎসা চলছে। নাকে নল ঢুকিয়ে তাকে খাওয়াতে হচ্ছে ৩ বেলা। শান্ত দাস রহিতের পিতা দিপঙ্কর দাসের ঘর বাঁধার জায়গা ছাড়া কোন জায়গা-জমি নেই। দিনমজুরি খেটেই সংসার চালাতে হয় তার। ছেলের ভবিষ্যত চিন্তায় মা বাবার চোখে সব সময় পানি গড়িয়ে পড়ছে।
দিপঙ্কর দাস জানান, গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় প্রায় ৭ মাস ধরে প্রায় ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে চিকিৎসার পরও তার ছেলে শান্ত দাস রহিতের এখনও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। এ চিকিৎসায় এখনও প্রায় ৩/৪ লাখ টাকা খরচ হবে বলে বাবা দিপঙ্কর দাসকে জানানো হয়েছে। এত টাকা জোগাড় করা পিতা দিপঙ্কর দাসের পক্ষে আদৌও সম্ভব নয়। খেটে খাওয়া পিতা দিপঙ্কর দাস ও মা তমালিকা দাস সন্তানের জীবন বাঁচানোর জন্য ভিটেবাড়ি বিক্রি করলেও অপারেশনের টাকা জোগাড় হবে না বলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
যদি কেউ শান্ত দাস রহিতকে সুস্থ করার জন্য সহায়তা করতে চান তবে ‘এস বি এ সি’ ব্যাংক লিমিটেড, চুকনগর শাখা, সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর ০০২৭১২০০৩৫৩৬২ তে সহায়তা পাঠাতে পারেন। এছাড়াও দানশীল ব্যক্তিরা দিপঙ্কর দাসের ০১৯২৮-১৭৩৩২৪ নম্বর মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment