প্রাইমারি সহকারি শিক্ষক হওয়া অনেকের স্বপ্ন! অনেক সিডিউল বিপর্যয়ের পর অবশেষে আর কিছু দিনের ভিতরেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে প্রাইমারি সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা - ২০১৯।
যেভাবে নিতে পারেন সর্বশেষ ও চূড়ান্ত প্রস্তুতি
কেমন হতে পারে প্রাইমারি সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন পদ্ধতি?
প্রাথমিকের প্রশ্ন পদ্ধতি হবে মূলত বেসিক নির্ভর। বিশেষ করে বাংলা ও ইংরেজি ব্যাকরণ এবং গণিতের ঐকিক নিয়মের উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
প্রাইমারি সহকারি শিক কোন বিষয় গুলো বেশি পড়বেন:
সময় স্বল্পতার কারণে প্রথমত দুই রকম প্রস্তুতি নিতে পারেন।
1. বিসিএস প্রিলিমিনারির ২০ তম হতে ৪০ তম , পিএসসির অধীনে নেওয়া পরীক্ষার ২০১৬ হতে ২০১৯ এপ্রিল পর্যন্ত, এবং প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষার বিগত ২০১৪ হতে ২০১৮ পর্যন্ত সকল প্রশ্ন গুলো ঠোঁটস্থ করে ফেলুন। সাথে বাংলা ব্যাকরণ ও ইংরেজি গ্রামারের বেসিক বিষয় গুলো গুরুত্ব সহকারে পড়ুন। প্রতিদিন গড়ে কমপক্ষে 2/3 ঘণ্টা ষষ্ঠ শ্রেণী হতে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত গণিত চর্চা করুন।
2. বিসিএস ১০ম হতে ৪০ তম, পিএসসি ২০১২ হতে বর্তমান পর্যন্ত এবং প্রাথমিকের ২০১০ হতে পরবর্তী সবগুলো প্রশ্ন খুব ভালো করে পড়ুন। যাদের ৪০ তম বিসিএস প্রিলিমিনারির প্রস্তুতি ভালো ছিল তাঁরা বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ের উপর বেশি গুরুত্ব দিন।
কত নম্বর পেলে প্রাইমারি সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ভাইভাতে ডাক পাওয়া যায়?
কত নম্বর পেলে আপনি ভাইভাতে ডাক পাবেন এটা নির্ভর করবে আপনার উপজেলায় কে কত নম্বর পেয়েছে তার উপর। যেহেতু প্রতিযোগিতা হবে আপনার উপজেলা ভিত্তিক সুতরাং নিজ উপজেলায় যারা বেশি নম্বর পাবে তারাই ভাইভাতে ডাক পাবেন। সাধারণত ৭০+ পেলে যে কেউ প্রত্যাশা করতে পারে।
প্রাইমারি সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণকারী:
এবারে পরীক্ষার দ্বায়িত্ব নিয়েছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ এবং পরীক্ষা হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে সুতরাং নিয়োগ প্রক্রিয়া শতভাগ স্বচ্ছ হবে আশা করা যায়।
কোটা বিভাজন কেমন হয়?
অনেকে মনে করেন প্রাথমিকে কোটা ছাড়া চাকরি হয় না এই কথার কোন ভিত্তি নেই। বিশেষ করে ছেলেদের জন্য কোটা নিয়ে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কোটার সহজ সমীকরণ হলো ছেলে ৪০ ভাগ এবং মেয়ে ৬০ ভাগ।
মানবন্টন: লিখিত পরীক্ষার নম্বর
লিখিত পরীক্ষার নম্বর ৮০ মৌখিক পরীক্ষার নম্বর -২০।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে।লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে।বাংলা, গণিত, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের প্রতিটি বিষয় থেকে ২০টি করে মোট ৮০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। চারটি উত্তর ভুল হলেই কাটা যাবে ১ নম্বর।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে মৌখিক পরীক্ষার জন্য ডাকা হবে।লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে।বাংলা, গণিত, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞানের প্রতিটি বিষয় থেকে ২০টি করে মোট ৮০টি নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। চারটি উত্তর ভুল হলেই কাটা যাবে ১ নম্বর।
https://brotherscomputerkp.blogspot.com/2019/05/primaryassistantteacherrecruitment.html
যেভাবে পড়লে প্রাইমারিতে শিক্ষক হিসেবে আপনার
.♥ প্রথম ধাপ
তিনটা পাঠ শেষ করতে হবে,
*বিসিএসের কোশ্চেন
*Primary Question
*নিবন্ধনের কোশ্চেন
# বাংলা
# ইংরেজি
# গণিত
# সাধারণ জ্ঞানঃ
যেভাবে পড়লে প্রাইমারিতে শিক্ষক হিসেবে আপনার
চাকরি হবেই!!!
পরীক্ষার হলে করণীয় :
প্রবেশপত্র সঙ্গে আনতে হবে। বই, উত্তরপত্র, নোট, কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোনসহ ইলেকট্রিক ঘড়ি ও কোনো ধরনের ইলেকট্রিক ডিভাইস সঙ্গে রাখা যাবে না। উত্তরপত্র পূরণ করতে হবে সতর্কতার সঙ্গে। সাবধানতাবশত ভুল হলে উত্তরপত্র বাতিল হতে পারে। কালো কালির বলপয়েন্ট কলম দিয়ে ওএমআর উত্তরপত্র পূরণ করা ভালো।প্রত্যেক প্রশ্নের উত্তরের জন্য একটি বৃত্তাকার ঘর ভরাট করতে হবে। একই প্রশ্নের উত্তরে একাধিক উত্তরটি বাতিল হবে ও নম্বর কাটা যাবে। কোনো প্রশ্নের উত্তর ভুল হলে তা কেটে অন্য কোনো ঘর ভরাট করা যাবে না। ওএমআর শিট ভাঁজ করা যাবে না, নির্ধারিত ঘর ছাড়া উত্তরপত্রের অন্য কোথাও দাগ দেয়া যাবে না। রোল নম্বর, প্রশ্নপত্রের সেট কোড, জেলা কোড, উপজেলা/থানা কোড, সেক্স কোড নম্বর অবশ্যই পূরণ করতে হবে, নইলে উত্তরপত্র বাতিল হবে।
ওএমআর শিটে রোল নম্বরের ঘর পূরণ করার সময় রোল নম্বরের নিচের বৃত্তাকার ঘরগুলোতে সঠিক সংখ্যা কালো কালির বলপয়েন্ট কলম দ্বারা পুরো ভরাট করতে হবে। হাজিরা শিটে খাতার ক্রমিক নম্বর ও প্রশ্নের সেট নম্বর লিখে নির্ধারিত ঘরে প্রার্থীকে স্বাক্ষর করতে হবে।
.♥ প্রথম ধাপ
তিনটা পাঠ শেষ করতে হবে,
*বিসিএসের কোশ্চেন
*Primary Question
*নিবন্ধনের কোশ্চেন
বিসিএস এর কোশ্চেন গুলো solve করবেন প্রথমে english vocabulary গুলো ভালো করে দেখুন। আর প্রাইমারিতে জটিল কোন ম্যাথ দিবেনা বিসিএস এর ছোট ছোট ম্যাথ গুলো দেখুন কমন পাবেন। বাংলা, ইংলিশ, সাধারণ জ্ঞান, দৈনন্দিন বিজ্ঞান বিভাগ ভালো করে শেষ করুন jobsolution দেখুন বিস্তারিত দেওয়া আছে প্রত্যেকটা অপশনের পরিচিত পড়ে নিন সোজা কথা বিসিএস এর প্রশ্ন ঝালাপালা করে ফেলুন।
literacy থেকে একটা কমন পাবেন substitution থেকে একটা কমন পাবেন, synonym antonym থেকে একটা কমন পাবেন, এনালগ ই থেকে একটা কমন পাবেন, বিসিএস থেকে বিগত প্রাইমারিতে প্রায় 30 টা প্রশ্ন কমন আসে প্রাইমারি বিগত বছরের কোশ্চেন গুলো সংস্করণ প্রত্যেকটা অংক হুবহু কমন পাবেন, নিবন্ধনের কোশ্চেন গুলো solve করুন এই তিনটা পাঠ প্রথমে শেষ করে ফেলুন মানে তিন মাসে ঝালাপালা করে ফেলুন ফুল কমন পাবেন।
# বাংলা
বাংলা অংশে ব্যাকরণের ওপর বেশি জোর দিতে হবে। অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণির বোর্ড প্রণীত ব্যাকরণ বইয়ের সব অধ্যায় উদাহরণসহ ভালোভাবে পড়তে হবে। জানতে হবে কবি-সাহিত্যিকদের সাহিত্যকর্ম ও জীবনী সম্পর্কে।এসএসসি ও এইচএসসি বোর্ড বইয়ের লেখক পরিচিতি ও সাধারণ জ্ঞান বইয়ের সাহিত্যিক পরিচিত, বই পরিচিতি অংশ পড়লে অনেকটা সহায়ক হবে। বিগত পরীক্ষায় যা এসেছে : ২৭ জুন ও ২৮ আগস্ট ২০১৫ নিয়োগের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, ব্যাকরণ থেকে ভাষা, বর্ণ, শব্দ, সন্ধি বিচ্ছেদ, কারক, বিভক্তি, উপসর্গ, অনুসর্গ, ধাতু, সমাস, বানান শুদ্ধি, পারিভাষিক শব্দ, সমার্থক শব্দ, বিপরীত শব্দ, বাগধারা, এককথায় প্রকাশ থেকে প্রশ্ন এসেছে। সাহিত্য অংশে গল্প বা উপন্যাসের রচয়িতা, কবিতার পঙ্ক্তি উল্লেখ করে কবির
নাম থেকে প্রশ্ন ছিল।
.# ইংরেজি
ইংরেজি গ্রামারে Right forms of verb, Tense, Preposition, Parts of Speech, Voice, Narration, Spelling, Sentence Correction-এর নিয়ম জানতে হবে এবং গ্রামার বইয়ের উদাহরণ থেকে চর্চা করতে হবে। মুখস্থ করতে হবে Phrase and Idoims, Synonym, Antonym ভালোভাবে শিখতে হবে। বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করলে ভালো করা যাবে। বিগত পরীক্ষায় যা এসেছে : বিগত দুই পর্যায়ের পরীক্ষায় ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ এসেছে।
.# গণিত
যা শেখা ও করা প্রয়োজন : পাটিগণিতের পরিমাপ ও একক, ঐকিক নিয়ম, অনুপাত, শতকরা, সুদকষা, লাভক্ষতি, ভগ্নাংশ, বীজগণিতের সাধারণ সূত্রাবলী থেকে প্রশ্ন থাকে। মুখে মুখে ও সূত্র প্রয়োগ করে সংক্ষেপে ফল বের করার প্র্যাকটিস করতে হবে। যাতে প্রশ্ন দেখামাত্রই সূত্র প্রয়োগ করে ফল বের করা যায়। জ্যামিতিতে প্রস্তুতি ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বর্গক্ষেত্র, রম্বস, বৃত্ত ইত্যাদির সাধারণ সূত্র ও সূত্রের প্রয়োগ দেখতে হবে। মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠ্যবই বিশেষত অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণির গণিত বই অনুসরণ করলে ভালো হবে।
.# সাধারণ জ্ঞানঃ
যা গুরুত্ব দিয়ে পড়া প্রয়োজন : প্রশ্ন বেশি আসে বাংলাদেশ অংশে বাংলাদেশের শিক্ষা, ইতিহাস, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ, ভূপ্রকৃতি ও জলবায়ু, সভ্যতা ও সংস্কৃতি, বিখ্যাত স্থান, বাংলাদেশের রাষ্ট্র ব্যবস্থা, অর্থনীতি, বিভিন্ন সম্পদ, জাতীয় দিবস থেকে প্রশ্ন আসে।.বিজ্ঞান থেকে বিভিন্ন রোগব্যাধি, খাদ্যগুণ, পুষ্টি, ভিটামিন থেকে প্রশ্ন আসতে পারে।নিয়মিত বেশি বেশি পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করলে সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্নের উত্তর সহজ হবে।.
(সূত্র ফেসবুক)
No comments:
Post a Comment