আমরা অনেকেই WiFi-Router ব্যবহার করি। WiFi-Router এ ভালো স্পীড এবং ভালো সুরক্ষা আমরা সকলেই পেতে চাই। কিন্তু আমরা কি আমাদের মনের মত স্পীড বা সুরক্ষা পাই?
Wifi-Router |
আমাদের মনের মত স্পীড বা সুরক্ষা আমরা অনেকেই হয়ত পাই না। তাই কম্পিউটারে WiFi Router ব্যবহার করে ভালো স্পীড এবং সুরক্ষা পাওয়ার জন্য আমি আপনাদেরকে কিছু নিয়ম-কানুন বাতলে দিতে চাই। Wifi Router এর কিছু সেটিং জানা থাকলে আপনার Wifi Router দিবে সবথেকে ভালো স্পীড এবং সুরক্ষা ! তাই আপনাদের Wifi Router ব্যবহারের অভিজ্ঞতা সুন্দর করার জন্য আমি কিছু সেটিং সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। আশাকরি এই সেটিংগুলি মেনে চললে আপনি আপনার WiFi Router এ ভালো Speed পাবেন এবং এটি Secured ও থাকবে।
Wifi-Internet ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা কি?
Wifi-Router |
অসুবিধা: সময় সময় নেট লাইন পুরাই উধাও হয়ে যায়। একবার গেলে আর কোন খবর থাকে না।
তারপরও বলতে গেলে Wifi Internet বেস্ট। আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারের উপর নির্ভর করে আপনার শান্তিতে Internet চালানো।
যে Settings জানলে আপনার WiFi-Router আরও শক্তিশালী হবে:
১. আপনার Wifi-Router এর Firmware আপডেট রাখুন
সবসময় আপডেট রাউটার ব্যবহার করুন। অনেক সময় এমন হয়, আপনার ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডার ইচ্ছা করে তাদের নিজস্ব রাউটার আপনাকে ধরিয়ে দিবে। যেটা পরে যেয়ে অনেক বিড়ম্বনার কারন হতে পারে। তাই রাউটার কিনবেন নিজের ইচ্ছা মতো দেখে শুনে ভালো কোম্পানীর । এক্ষেত্রে Bestbuy.com এর রাউটার গুলি দেখতে পারেন।
২/ সুবিধা জনক জায়গাতে Wifi-Router টি স্থাপন করুন
রাউটারটি স্থাপন করবেন এমন একটি স্থানে যেখান থেকে আপনার কাঙ্খিত প্রায় সব জায়গায় সমান ভাবে সিগন্যাল পৌছাতে পারে।
৩/ শক্ত পাসওয়ার্ডের ব্যবহার
কথাটা কেমন শোনাচ্ছে না? পাসওয়ার্ড আবার কি ভুমিকা রাখে এতে?
রাখে, কারন আপনি যখন একটা শক্ত পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন তখন আর বাইরের কেউ আপনার নেট লাইন ব্যবহার করতে পারবে না এর বাইরেও পাবেন Secured Net সার্ভিস।
৪/ Wifi চ্যানেলঃ
সবসময় সঠিক Wifi চ্যানেল ব্যবহার করবেন। বেশিরভাগ সার্ভিস প্রভাইডার ২.৪ গিগাহার্জ ব্যবহার করে যেটা সবার জন্য পারফেক্ট নাও হতে পারে।
৫/ পুরনো ডিভাইস ডিসকানেক্ট করে রাখুনঃ
কথাটার মানে হল, যখন কোন ডিভাইস আর ব্যবহার করবেন না, তখন সেটি ওয়াইফাই রাউটার থেকে ডিসকানেক্ট করে রাখুন।
৬/ Ping টেস্টঃ
যেকোন সময় পিং টেস্টের মাধ্যমে আপনার নিয়মিত ইন্টারনেট গতি পরীক্ষা করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে এই সাইটে যেতে হবে- ( www.pingtest.net )
৭/ Restart
অনেক সময় এমন হয় দেখবেন আপনার রাউটার চলতে চলতে হ্যাং করে! হঠাৎ করেই স্পীড গায়েব বা নেট লাইন ডিসকানেক্ট হয়ে যায়। এমতাবস্থায় শুধু Router টি একবার অফ করে অন করুন বা Restart দিন।
৮/ একাধিক Router এর ব্যবহারঃ
অনেক সময় এমন হয়, আপনার ফ্লোরের স্পেস অনেক বড় আর দুর্ভাগ্য বসতো আপনি যে Router টি কিনেছেন সেটি সম্পূর্ণ ফ্লোর কভার করতে পারছে না। যার ফলে আপনার নেট স্পীড অনেক কম আসছে। একটি কাজ করতে পারেন নতুন আরেকটি বড় দেখে Router কিনতে পারেন বা ছোট আরেকটি Router কিনে সেটি ঘরের আরেক কোনায় সেট করে নিতে পারেন।
৯/ একই সিগন্যালের ডিভাইস থেকে দূরে রাখাঃ
মনে রাখবেন আপনার ঘরের কিছু কমন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস আছে যেগুলো ঠিক একই ২.৪ গিগাহার্জ ব্যবহার করে। যেমন, টিভি, কডলেস ফোন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন ইত্যাদি। আপনি যদি সেই একই ডিভাইসের পাসে Router স্থাপন করেন তবে স্বাভাবিক ভাবেই Router তার নিজস্ব সিগন্যাল দিতে বাধাগ্রস্ত হবে।
১০/ এন্টেনাঃ
প্রয়োজনের উপরে ভিত্তি করে চেষ্টা করুন এন্টেনা সহ Router কিনতে। আর আপনি চাইলে পুরনো রাউটারের এন্টেনা পরিবর্তন করে নতুন বড় বা আরও উন্নত এন্টেনা লাগিয়ে নিতে পারবেন। এটা করার জন্য আপানাকে নিকটস্থ Router Shop এ যেয়ে কথা বলতে হবে।
এই Settings গুলি মেনে চলুন। আশাকরি আপনার Wifi-Router অনেক ভালো কাজ করবে।
No comments:
Post a Comment