Mobile Servicing & Sales Accessoris

Brothers Computer

Search WEB

Monday, July 15, 2019

Unknown facts about the snake

সাপ নিয়ে অজানা কিছু বাস্তব :

অধিকাংশ সাপই নির্বিষ। সাপ মারবেন না। সাপ বাস্তুতন্ত্রের অংশ। সাপ আমাদের দেশের একটি সম্পদ। বর্তমানে আমাদের সাপ সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার ফলে সাপ প্রাণী আজ বিলুপ্তির পথে। তাই সাপ নিয়ে অজানা কিছু বাস্তব সম্পর্কে আমি আপনাদের জানাতে এসেছি। আমাদের বাংলাদেশ গ্রাম প্রধান দেশ। তাই গ্রামে তো বাগান থাকবেই। আর বাগানেইতো সাপের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ। আর বাগানের পাশে বাড়িঘর থাকলে তো কথাই নেই। যখন তখন ঘরে সাপ ঢুকতে পারে। তবে ঘরে সাপ পাওয়া গেলে স্নেক রেস্কিউয়ারকে জানাতে পারেন। ওঝাদের জানিয়ে পরিবেশ থেকে এসব সাপ বিলুপ্ত করবেন না। ওঝারা সাপ মেরে পুড়িয়ে তেল বানায়। সেই তেল বাত ব্যাথা- সাপের বিষ নামানো, হারানো যৌবন পুনরুত্থান নামক নানাকিসিমের মিথ্যা চিকিৎসায় ব্যবহার করে। তাদের এই কাজ করতে দিবেন না। কারণ দিনশেষে সেই সাপের তেল হয়তো আপনার আত্মীয়ই কিনে নিয়ে ব্যবহার করছে। ওঝারা সাপে কাঁটা অনেক রোগী ভালো করে। যেগুলো আসলেই বিষাক্ত সাপের কামড় ছিল না। বিষাক্ত হলে ওঝারা একটা সময় বুঝতে পারে তখন নানা অজুহাত নাগ-নাগিনির কথা বলে এরা হাসপাতালে রোগী রেফার করে। ওঝার কাছে গিয়ে জীবন খুইয়ে ফেলার পরিস্থিতি তৈরি করার কোন প্রয়োজন নেই।
সাপ নিয়ে অজানা কিছু বাস্তব :
সাপ নিয়ে অজানা কিছু বাস্তব 

এবার সাপ নিয়ে অজানা কিছু বাস্তব সম্পর্কে জেনে আসা যাক : 

১. দাঁড়াশ সাপের লেজে বিষ রয়েছে? দাঁড়াশ নির্বিষ সাপ। লেজ তো দূর এর বিষ দাঁতই নেই। মূলত ইঁদুর এবং ছোট পাখি ধরে খায় এবং তার থেকেও বড় কথা, ছোট খাটো বিষাক্ত সাপ এরা খেয়ে নেয়।


২. বীণ শুনে সাপে নাচে— একে বারে ভুল কথা। জেনে রাখুন, সাপের কান নেই। এমনকী দৃষ্টি শক্তিও প্রখর নয়। যাঁরা বীণ বাজান, তাঁরা সেটি সাপের মুখে সামনে দোলাতে থাকেন।সাপও চোখের সামনে দুলুনি দেখে মাথা দোলাতে থাকে এই ভেবে যে, কোনও শত্রু এল। তাছাড়া সাপের শোনার জন্য ঘনঘন জিহ্বা বের করতে হয়। তাছাড়া সাপ আপনাকে আক্রমণ করবে না। আপনি যদি শব্দ করে হাঁটেন, সে বুঝতে পারে। সাপের বুকের তলায় খোলসের রঙ আলাদা। সেখানে বিশেষ স্নায়ুতন্তু থাকে। মাটির কম্পন বুঝতে পারে। আপনি কতদুরে আছেন, আপনি সাইজে কতবড়, সে বুঝতে পারে এবং পালিয়ে যায়।

৩. সাপে দুধ খায়? সর্বনাশি ধারণা। মনে রাখবেন, সাপ শীতল রক্তের প্রাণী, মাংসাশী এবং স্তন্য পায়ী নয়। ফলে সাপের পক্ষে দুধ হজম করা অত্যন্ত কঠিন। দুধ সাপের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। সাপ মারাও যেতে পারে। যে সব সাপকে দুধ খেতে দেখেন, তারা মূলত সাপুড়েদের সাপ। নাগ পঞ্চমীর আগে সাপ গুলিকে নাগাড়ে মাস খানেক প্রায় জল না-খাইয়ে রাখা হয়। তার পরে মুখের সামনে দুধ ধরা হয়। বাধ্য হয়েই সাপেরা সেই দুধ খেয়ে নেয়।

৪. সাপ মানুষকে তাড়া করে? মনে রাখুন, সাপ মানুষের শত্রু নয়। বরং উল্টো টাই সত্যি। সাপের সামনে পড়ে গেলে যদি দৌড়ে পালাতে যান বা বেশি লাফালাফি করেন, তা হলে সাপ আত্মরক্ষার্থে তেড়ে আসতে পারে। চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকুন। দেখবেন সাপ আপনাকে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে।

৫. সাপ তার শত্রুকে চিনে রাখে? এটা অবশ্যই সম্ভব। কিন্তু তা হতে হবে কোনও সস্তার সিনেমা বা অতি খাস্তা বাংলা বা হিন্দি সিরিয়াল। সাপের স্মৃতিশক্তি বা বুদ্ধি নেই। তারা শুধু এটুকু জানে, বাঁচতে গেলে খেতে হয়, খেতে গেলে হত্যা করতে হয়। নিজের শক্তি সম্পর্কে তার ধারণা রয়েছে। নিজের আকার সম্পর্কে সাপ ওয়াকি বহাল। আর রয়েছে যৌনতার স্বাভাবিক প্রবৃত্তি।

৬. সাপ বিষ ছুড়ে মারে? এই বাংলা তো বটেই, তামাম ভারতেই এই জিনিসটি পাবেন না। আফ্রিকা এবং দক্ষিণ ও উত্তর আমেরিকার কিছু অংশে এই স্পিটিং কোবরা পাওয়া যায়।

৭. সাপে সাপে শঙ্খ লাগে? শঙ্খ লাগা বস্তুটি কী? কেউ বলেন সাপের খেলা, কেউ বলেন বৃষ্টি নামবে, কেউ বলেন ঈশ্বরের মায়া। ‘‘মায়া’’ই বটে। যেটাকে সাপের শঙ্খ লাগা ভেবে কপালে হাত ঠেকান, সেটা আসলে সাপের যৌন সঙ্গম।

একটা সাপ মারার পর আরেকটা সাপ প্রায়ই একই স্থানে দেখা যায়, কারণ কী?

এটা সিম্পল ব্যাপার। মেটিং এর সময় তাদের পার্টনার আশেপাশে থাকতেই পারে কিংবা আশেপাশে গর্ত থাকলে তার বাচ্চাকাচ্চা কিংবা আরো সাপ উঠে আসতেই পারে। সে প্রতিশোধ নিতে আসেনি বরং ভুল করে গর্ত থেকে চলে এসেছে।


# সিনেমায় বলে, সাপ দুধ খায়। গরুর দুধ খেতে গোলাঘরে হানা দেয়! ভুল কথা। এসব সাপ ক্ষেতের ব্যাঙ- পোকামাকড় খায়। কালো রঙ্গের দাড়াশ সাপ আমাদের উপকার করে। ফসল বাঁচায়। এদের না মারাই উত্তম।

#সাপে কাটলে ব্লেড দিয়ে কেটে দিলে বিষ বের হয়ে যায়! কথাটা ভুল। ভুলেও এই কাজ করবেন না। ব্লেড দিয়ে কাটলেন তো বিষকে রক্তের সাথে নিজহাতে মিশিয়ে দিলেন।

#দংশন করা সাপকে উল্টোকামড় দিলে বিষ ফেরত চলে যায় সাপের ভেতরে! কথাটা ভুল। যদি পায়ে কাটে তাহলে তো বিষ সেখানে। আপনার মুখের দাঁতে তো বিষ নাই। কীভাবে ফেরত দিবেন? আর সাপের বিষ তার দাঁতে থাকে না। সে যখন কামড় দেয় তার মুখের পেশিগুলো টানটান হয়ে যায়। দাঁতের কাছেই ঠাকে বিষধর। সেখান থেকে বিষ দাঁত বেয়ে আপনার শরীরে প্রবেশ করে।

#ফুটবলের অ্যাংলেট পায়ে দিলে যেমন আটসাট হয়ে থাকে এমন ভাবে গামছা বা শার্ট বা শাড়ি দিয়ে দংশনের কিছু উপরে পেঁচিয়ে নিতে পারেন। বাঁধন অবশ্যই ঢিলা রাখবেন। দুট আঙ্গুল ঢোকে এমনভাবে ঢিলা করবেন। আবার খুব ঢিলাও না। ২০ মিনিট পরপর খুলে আবার লাগাতে পারেন। ভুলেও লোহার তার, সুতলি, কারেন্টের তার বা অন্য সরু জিনিস দিয়ে বাঁধবেন না। বাঁধলে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে হাতে-পায়ে পঁচন শুরু হবে। চিরতরে হাত বা পা খোয়ানোর সম্ভাবনা প্রবল। হয়তো আপনাকে বিষধর সাপ কাটেই নি অথচ আপনি ভয়ে গিট্টু দিয়ে হাত পা পঁচিয়ে পঙ্গু হয়ে গেলেন। কেমন হবে?

#সাপ কাটলে কিন্তু আংটি, চুড়ি, ব্রেসলেট খুলে ফেলবেন। কিছু সাপের বিষে আপনার আঙ্গুল, হাত বা পা ফুলে যেতে পারে। আংটি বা চুড়ি থাকলে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে পঁচন ঘটতে পারে।

সাপ নিয়ে অজানা কিছু বাস্তব :
সাপ কখন দংশন করে?

সাপ কখন দংশন করে?

১। যদি ভুলে আপনার মুখোমুখি হয় সে পালাতে চেষ্টা করে। কিন্তু সে নিজে ভয় পেলে হিংস্র হয়। সব প্রাণিই এমন। মুরগীরও মাঝেমাঝে মানুষকে ঠোকর দেয়। সামনে সাপ পড়লে তাকে চলে যেতে দিন।

২। বর্ষায় গর্তে পানি উঠে যায়। ফলে সাপ ডাঙ্গায়, শুকনো জায়গায় উঠে আসে। সেটা ক্ষেতের আইল, রাস্তা কিংবা আপনার ঘরের তোশকের তলা, বালিশের তলা, আলনার ভেতর, কাঠের স্তুপ যেকোন জায়গাতেই আসতে পারে।

৩। অন্ধকারে সাপের শরীরে পা পড়লে বা ভুলে তার শরীরে পা পড়লে সাপের কামড় খেতে পারেন।

৪। ইদুরের গর্তে সাপ থাকলে সেখানে পা রাখলে বা বসে থাকলে কামড় দিতে পারে। বাচ্চা ছেলেরা মাঝেমাঝে বসে গর্তের মুখে প্রস্রাব করে। সন্তানকে শিক্ষা দিন। এই কাজ যেন না করে।


সব সাপ কি বিষাক্ত?

#বাংলাদেশে ৮০ ধরণের সাপ আছে। মাত্র ২৭ টা সাপ বিষাক্ত আর অধিকাংশই সামুদ্রিক। মাত্র ৫/৬ প্রজাতি স্থলে আছে যারা বিষধর।আপনার চোখের সামনে নিয়মিত যাদের ঘোরাফেরা দেখেন, তারা বিষাক্ত নয়। পানির সাপ অধিকাংশই বিষাক্ত নয়। তবে সামুদ্রিক সাপ প্রায় সবই বিষাক্ত। যদি চেনেন তবে বলি গোখরা, কালকেউটে, শঙ্খচূড়, চন্দ্রবোড়া বিষাক্ত।

সাপে কাটলে বুঝবেন কীভাবে?

১।দংশন করেছে এমন মনে হবার পর যদি সরাসরি সাপ দেখেন, তাহলে ভাবতে পারেন সে আপনাকে দংশন করেছে।

২। সাপের বিষ কয়েক ধরণের। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু ঘটে নিউরোটক্সিন রিলিজ করা সাপের কামড়ে। এক্ষেত্রে ঝিমঝিম লাগবে। চোখে ঝাঁপসা দেখবে। চোখের উপরের পাতা নেমে চোখ অংশিক বন্ধ হয়ে যাবে। মাথা ঝুলে যাবে। জিহ্বা ও শ্বাসনালী ফুলে যাবে। শ্বাস নিতে পারবে না। মুখে লালা ঝরবে। দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না। বমি করতে পারে।

৩। শিকারি পশুর মত সাপের দুটো দাঁত বড় থাকে। বাঁকানো। দংশন করলে গভীর ক্ষত হয়। দুঁটো দাঁতের অস্তিত্ব থাকলে ধরে নিতে পারেন, আপনাকে বিষাক্ত সাপ দংশন করেছে।

৪। চন্দ্রবোড়া কামড় দিলে লোহিত রক্তকনিকা ভেঙ্গে যায়। ফলে রক্তবমি, রক্তপায়খানা হতে পারে। কামরের জায়গায় রক্ত ঝরতে পারে। ফুলে যেতে পারে, লাল হতে পারে। ফোস্কা পড়তে পারে। কালোও হতে পারে।

৫। কিছু সাপের কামড়ে হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারাও যেতে পারে।

সিনেমায় সাপের কামড়ে গড়াগড়ি খেতে দেখেন, বিষের কারণে চেঁচামেচি করতে দেখেন। এগুলো অভিনয়। সাপের বিষ নিয়ে একটা প্রবাদ আছে, কেমন ব্যাথা বুঝিবে সে কীসে, কভু আশীবিষে দংশেনি যারে... এইসব ভুলে যান। সাপে কাটা মানুষ খুব স্বাভাবিক থাকে শুরুতে। কোন ব্যাথা নাও থাকতে পারে। এমনকী মৃত্যু ঘটার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত কোন ব্যাথা নাও বুঝতে পারে।
সাপ নিয়ে অজানা কিছু বাস্তব :
সাপ

সাপে কাঁটা রুগীর চিকিৎসা :

বিষাক্ত সাপে কাটলে আপনি বাঁচতে পারেন একটামাত্র পথন অনুসরণ করলে। সেটা হল- দুনিয়ার কারো মতামত নিবেন না। সরাসরি হাসপাতাল যাবেন। সাপে কাটলে এক সেকেন্ড সময় নষ্ট না করে সরকারি বড় হাসপাতালে যান। রাসেল ভাইপারভ বাদে সব সাপেরই বিষের অ্যান্টিভেনম আছে। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই চিকিৎসা শেষে ফিরে আসবেন। 

প্রাথমিক ভাবে যেগুলি করবেন:-
১। একদম ঘাবড়াবেন না। বেশি ঘাবড়ালেই বিষ বেশি ছড়াবে।

২। সাপেকাটা জায়গা ধুয়ে ফেলুন সাবান দিয়ে। 

৩। ব্লেড দিয়ে কাটবেন না।

৪। চুষে রক্ত বের করবেন, এমন চিন্তা ভুলে যান।

৫। যেখানে কামড়াবে সেখানকার নাড়াচাড়া বন্ধ। হাতে কামড়ালে হাত নাড়ালে বিষ দ্রুত ছড়িয়ে যায়। হাত একদম নাড়াবেন না। পায়ে কামড়ালে হাঁটবেন না।

৬। সাপেকাটা স্থানে ভুলেও অ্যাসিড ঢালবেন না। মরিচের গুড়ো দিবেন না। কার্বলিক অ্যাসিডে ঝলসাবেন না। কোন ফলের বীজ, সর্পরাজ তেল, গুটি, আটি, বড়ি, তাবিজ কিছুই লাগাবেন না।

৭। সাপটাকে পারলে চিনে রাখুন। ডাক্তারকে বললে চিকিৎসা পেতে সুবিধা হবে। তবে সাপটাকে ধরে নিয়ে যাবেন না। মেরেও ফেলার দরকার নাই।

৮। মৃত সাপকে ধরতে যাওয়াও নিরাপদ নয়। এরা মৃত্যুর ভান করে শুয়ে থাকতে পারে।

কার্বোলিকে এ্যাসিডে সাপ পালায়?

সাপের ঘ্রাণ শক্তিই এত দূর্বল যে ফুলের গন্ধও সে ঠিকমত পায়না। তাহলে কার্বলিক এ্যাসিডে সাপ পালাবে কে বলল আপনাকে? এসব সেইফটি এককালে প্রচলিত ছিল। এখন ব্যর্থ টোটকা। বাড়িতে খড়ের গাদা, লাকড়ির স্তুপ থাকলে আপনার মা বা স্ত্রীকে সতর্ক করে দিন। খড় বা লাকড়ি নেবার আগে সেখানে লাঠি দিয়ে কিছুক্ষণ শব্দ করুন। সাপ থাকলে চলে যাবে। রাতে বিছানা এমনকী বালিশের তলাও চেক করবেন। আলনার ভেতরে থাকতে পারে। শব্দ করে কাপড় নিতে যাবেন। বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝাড় থাকলে কেটে ফেলুন। ঈদুরের গর্ত থাকলে ভরাট করে ফেলুন।

বর্ষাকাল এসেছে। এখন সাপ আপনার বাড়িতে-ঘরে আশ্রয় নিতে আসতেই পারে। সাবধান থাকুন। অন্যদের সতর্ক করে রাখুন। গ্রামের আপন মানুষদের (বাবা-মা, বউ-বাচ্চা-বন্ধু) সাপের ব্যাপারে বিস্তারিত জানিয়ে রাখুন।

সতর্ক থাকবেন-ভয় পাবেন না এবং সাপকে অবহেলা করবেন না।


1 comment:

Google Search

Xiaomi Mi 9 Pro 5G Stock Rom | Flash File

On This Site, you will find the official link for  Xiaomi  Mi 9 Pro 5G Stock    Firmware ROM ( flash file ) for   download .  Xiaomi Mi...